Motorola Edge 60 Fusion Price এবং স্পেসিফিকেশন ২০২৫ সালের হিট ফোন | IT BITAN

Motorola Edge 60 Fusion Price এবং স্পেসিফিকেশন ২০২৫ সালের হিট ফোন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Motorola Edge 60 Fusion Price

Motorola Edge 60 Fusion Price এবং স্পেসিফিকেশন ২০২৫ সালের হিট ফোন

Motorola Edge 60 Fusion Price : ২০২৫ সালের অন্যতম আলোচিত স্মার্টফোন, যেখানে প্রিমিয়াম ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ একসঙ্গে পাওয়া যায়। ফোনটি প্রথম ঘোষণা করা হয় ২ এপ্রিল ২০২৫ এবং বাজারে আসে ৯ এপ্রিল ২০২৫-এ। বাংলাদেশের মার্কেটে আনঅফিশিয়ালভাবে Motorola Edge 60 Fusion price ৮GB/২৫৬GB ভ্যারিয়েন্ট ২৮,৫০০ টাকা এবং ১২GB/২৫৬GB ভ্যারিয়েন্ট ৩১,৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।

প্রিমিয়াম ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি

এই ফোনের ডিজাইনে ব্যবহৃত হয়েছে গ্লাস ফ্রন্ট (Gorilla Glass 7i) এবং পিছনে সিলিকন পলিমার ব্যাক বা ইকো লেদার, যা হাতে নরম এবং আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। ফ্রেমটি প্লাস্টিক হলেও ফোনটি ড্রপ রেসিস্ট্যান্ট এবং MIL-STD-810H কম্প্লায়েন্ট। IP68 এবং IP69 সার্টিফিকেশন ফোনটিকে ধুলা, পানি এবং হাই-প্রেশার ওয়াটার জেট থেকেও সুরক্ষা দেয়। ওজন মাত্র ১৭৭.৫–১৮০ গ্রাম হওয়ায় এটি হালকা এবং ব্যবহার করা সহজ।

অসাধারণ ডিসপ্লে: রঙিন, উজ্জ্বল এবং স্মুথ

Motorola Edge 60 Fusion এ রয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চি LTPO P-OLED ডিসপ্লে, যা HDR10+ এবং ১ বিলিয়ন রঙ সাপোর্ট করে। ১২০Hz রিফ্রেশ রেট স্ক্রলিং এবং গেমিং অভিজ্ঞতাকে আরও মসৃণ করে তোলে। ৪৫০০ নিটস পিক ব্রাইটনেসের কারণে রোদে খুব সহজেই স্ক্রিন দেখা যায়। ১২২০×২৭১২ রেজোলিউশন এবং ৪৪৬ ppi ডেনসিটি সিনেমা দেখা, গেম খেলা এবং দৈনন্দিন ব্যবহারকে আরও উপভোগ্য করে তোলে।

Motorola Edge 60 Fusion Price

শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও প্রসেসর

ফোনটিতে দুটি শক্তিশালী চিপসেট ব্যবহৃত হয়েছে। একটি MediaTek Dimensity 7300 এবং আরেকটি Dimensity 7400। দুটিতেই রয়েছে ৪+৪ কোর আর্কিটেকচার, যা মাল্টিটাস্কিং, গেমিং এবং দীর্ঘসময় ব্যবহারে দ্রুত পারফরমেন্স নিশ্চিত করে। Mali-G615 MC2 GPU দিয়ে গেমিং-এর গ্রাফিক্সও সুন্দরভাবে হ্যান্ডেল হয়। ফোনটি Android 15-এ চলে এবং Motorola তিনটি বড় অ্যান্ড্রয়েড আপডেটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

স্টোরেজ ও র‍্যামের অপশন

ফোনটি ২৫৬GB এবং ৫১২GB UFS 2.2 স্টোরেজে পাওয়া যায়, সঙ্গে ৮GB বা ১২GB RAM ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। microSDXC কার্ড সাপোর্ট থাকায় স্টোরেজ বাড়ানো সম্ভব। হেভি ফাইল, ভিডিও এবং অ্যাপ ব্যবহারের জন্য এটি উপযুক্ত।

ডুয়াল ক্যামেরা সেটআপ ও ভিডিও পারফরম্যান্স

Motorola Edge 60 Fusion এর পিছনে ডুয়াল ক্যামেরা সিস্টেম রয়েছে। প্রধান ক্যামেরা ৫০MP, যা OIS এবং ডুয়াল পিক্সেল PDAF সাপোর্ট করে। ছবিগুলোতে শার্পনেস, ডিটেইল এবং রঙের ভারসাম্য ভালোভাবে পাওয়া যায়। ১৩MP আলট্রাওয়াইড ক্যামেরা ১২০° ফিল্ড অফ ভিউ দেয়, যা ল্যান্ডস্কেপ এবং গ্রুপ শটের জন্য আদর্শ। ভিডিও রেকর্ডিংয়ে রয়েছে ৪K@30fps এবং 1080p-এ সর্বোচ্চ ২৪০fps স্লো-মোশন। সামনে ৩২MP সেলফি ক্যামেরা আছে, যা HDR এবং ৪K ভিডিও রেকর্ডিং সাপোর্ট করে।

স্টেরিও স্পিকার ও কানেক্টিভিটি সুবিধা

ফোনটিতে স্টেরিও স্পিকার থাকায় মিউজিক এবং ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতা প্রাণবন্ত হয়। যদিও ৩.৫mm হেডফোন জ্যাক নেই, Bluetooth 5.4 কার্যকরভাবে অডিও ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্ট করে। Wi-Fi 6, GPS, GLONASS, GALILEO সাপোর্টসহ NFC (মার্কেট অনুযায়ী) আছে। USB Type-C 2.0 পোর্ট এবং OTG সাপোর্টও রয়েছে।

Motorola Edge 60 Fusion Price

ব্যাটারি লাইফ ও চার্জিং গতি

Motorola Edge 60 Fusion এ ৫২০০mAh অথবা ৫৫০০mAh ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, যা দীর্ঘসময় ধরে স্ক্রিন-অন টাইম দেয়। ৬৮W ফাস্ট চার্জিং ফোনটিকে অল্প সময়ের মধ্যে চার্জ করে। ব্যস্ত দিনের মাঝেও ব্যাটারি নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।

নেটওয়ার্ক ও অন্যান্য ফিচার

ফোনটি GSM, HSPA, LTE এবং 5G নেটওয়ার্ক ব্যান্ড সাপোর্ট করে। International এবং India ভার্সনে ব্যান্ড ভিন্ন হলেও বাংলাদেশে কার্যকরভাবে কাজ করে। ফোনটিতে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, স্মার্ট কানেক্ট (Ready For) সাপোর্ট এবং বিভিন্ন Pantone কালার অপশন যেমন Slipstream, Amazonite, Zephyr এবং Mykonos Blue রয়েছে। মডেল নম্বর হলো XT2503-4।

Motorola Edge 60 Fusion price in Bangladesh

বাংলাদেশে আনঅফিশিয়াল মূল্য ৮GB + ২৫৬GB ভ্যারিয়েন্টের জন্য ২৮,৫০০ টাকা এবং ১২GB + ২৫৬GB ভ্যারিয়েন্টের জন্য ৩১,৫০০ টাকা। এই দামে ফোনটি ফিচার, পারফরম্যান্স, ক্যামেরা এবং ব্যাটারি সব দিক থেকে চমৎকার ভ্যালু প্রদান করে।

Pros এবং Cons

Motorola Edge 60 Fusion এর সবচেয়ে বড় সুবিধা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এর সিলিকন পলিমার ব্যাক এবং IP68/69 ওয়াটার-প্রুফ সার্টিফিকেশন। LTPO P-OLED ডিসপ্লে ১২০Hz রিফ্রেশ রেট এবং HDR10+ সাপোর্টসহ চমৎকার ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা দেয়। Dimensity 7300/7400 চিপসেট ৮GB/১২GB RAM-এর সঙ্গে দ্রুত এবং মসৃণ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। স্টেরিও স্পিকার, NFC এবং ইন-স্ক্রিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ফোনটির ব্যবহার আরও সুবিধাজনক করে। ৫২০০/৫৫০০mAh ব্যাটারি ৬৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সহ দীর্ঘসময় ব্যাটারি ব্যাকআপ দেয়।

কিন্তু কিছু অসুবিধাও আছে। ফোনের ফ্রেম প্লাস্টিক, যা প্রিমিয়াম মেটাল ফিল দেয় না। ডুয়াল প্রাইমারি ক্যামেরা থাকায় ফটোগ্রাফি কিছুটা সীমিত। এছাড়া FM রেডিও নেই।

শেষকথা

Motorola Edge 60 Fusion এমন একটি স্মার্টফোন যা প্রিমিয়াম ডিজাইন, শক্তিশালী চিপসেট, উচ্চমানের ডিসপ্লে এবং বড় ব্যাটারি একসঙ্গে দেয়। প্লাস্টিক ফ্রেম এবং FM রেডিও না থাকা কিছুটা হতাশার হলেও সামগ্রিকভাবে এটি দামের তুলনায় অসাধারণ ডিভাইস। যারা ৩০ হাজার টাকার মধ্যে একটি স্টাইলিশ, টেকসই এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্সের ফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য Motorola Edge 60 Fusion একটি চমৎকার পছন্দ।

Disclaimer
We strive to provide accurate information, but we cannot guarantee that all details are always fully updated.

Affiliate Disclosure
This post may contain affiliate links. We may receive a commission if you make a purchase through these links, at no extra cost to you. For more details, please visit our Disclaimer Page.
আইটি বিতান
Nilasha Barua

হাই! আমি নিলাশা, প্রযুক্তি, গ্যাজেট রিভিউ এবং নানা ধরনের বিষয় নিয়ে ব্লগ লিখি। পাঠকের জন্য সহজ, প্রাসঙ্গিক এবং তথ্যবহুল কনটেন্ট তৈরি করাই আমার প্রাথমিক উদ্দেশ্য।নতুন তথ্য শেয়ার করতে এবং পাঠকদের সাথে জ্ঞান ভাগাভাগি করতে পছন্দ করি।

Next Post Previous Post
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন
comment url