SMS Bombing আসলে কী? এর থেকে কিভাবে পরিত্রান পাবেন
এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন
SMS Bombing আসলে কী? এর থেকে কিভাবে পরিত্রান পাবেন
প্রিয় পাঠক আজকের ব্লগ পোষ্টে SMS Bombing আসলে কী? এর থেকে কিভাবে পরিত্রান পাবেন তা নিয়ে বিস্তারিত জানবো। SMS Bombing হলো এমন একটি বিরক্তিকর সাইবার অপব্যবহার যেখানে খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোনো একটি মোবাইল নম্বরে শত শত বা হাজারো এসএমএস পাঠানো হয়।
বেশির ভাগ সময় এটি করা হয় কারো মোবাইলকে ব্যস্ত করে রাখা, নোটিফিকেশনে ভরিয়ে বিরক্ত করা বা মজার ছলে ঝামেলা সৃষ্টি করার জন্য। সাধারণত OTP পাঠানোর সিস্টেম বা Send Verification Code অপশনের অপব্যবহার করে এসব করা হয়। এটি সরাসরি হ্যাকিং না হলে ও, মুহূর্তেই ভুক্ত ভোগীর স্বাভাবিক মোবাইল ব্যবহারে সমস্যা তৈরি করে।
হঠাৎ এত এসএমএস কেন? SMS Bombing এর আসল ঝামেলাটা কোথায়
যখন আপনার ফোনে হঠাৎ করে একের পর এক মেসেজ আসতে শুরু করে, সেটা শুধু বিরক্তিকরই নয় অনেক সময় এটি বিপজ্জনক ও হতে পারে। বারবার নোটিফিকেশন পাওয়ায় ফোন স্লো হয়ে যায়, কাজ করতে অসুবিধা হয়, গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয় এত OTP আসা মানে কেউ হয়তো আপনার সোশ্যাল মিডিয়া বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢোকার চেষ্টা করছে। তাই বিষয়টিকে অবহেলা করলে ভবিষ্যতে আর ও বড় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
SMS Bombing থেকে রেহাই পাওয়ার বাস্তব উপায় গুলো
SMS Bombing একবার শুরু হলে বিরক্তি বেড়ে যায়, কিন্তু সমাধান আছে। প্রথমত, আপনার মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারের সাথে যোগাযোগ করুন। তারা সন্দেহ জনক উৎস থেকে আসা বার্তা পর্যবেক্ষণ করে ব্লক করতে পারে। দ্বিতীয়ত, স্মার্টফোনে থাকা Spam Protection বা Block Sender ফিচার চালু করুন। এতে অচেনা উৎসের বেশির ভাগ মেসেজ ফিল্টার হয়ে যাবে। তৃতীয়ত, যদি দীর্ঘ সময় ধরে বোম্বিং চলতে থাকে, তাহলে আইনগত সহায়তা নিতে পারেন। সাইবার ক্রাইম বিভাগ এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
মোবাইলে বারবার OTP আসছে? হতে পারে নিরাপত্তা ঝুঁকি কি করবেন এখনই
যদি আপনি হঠাৎ দেখেন যে আপনার ব্যাংক, ফেসবুক, গুগল বা অন্য কোনো প্ল্যাটফর্ম থেকে একটানা OTP আসছে, তাহলে ধরে নিতে হবে কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে ঢোকার চেষ্টা করছে। প্রথম কাজ হলো অবিলম্বে পাসওয়ার্ড বদলান এবং Two-Step Verification চালু করুন। আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভিটি চেক করুন, অচেনা ডিভাইস লগইন থাকলে তা মুছে দিন। দ্রুত পদক্ষেপ নিলে বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো যায়।
SMS Bombing ঠেকাতে যেসব অভ্যাস আজই বদলানো উচিত
অনেক সময় আমরা নিজেরাই অসতর্ক হয়ে নম্বর বিভিন্ন অজানা সাইটে দিয়ে ঝুঁকিতে পড়ি। তাই প্রথমেই যা করবেন অপরিচিত ওয়েবসাইটে বা সন্দেহজনক অ্যাপে ফোন নম্বর দেবেন না। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকে আপনার ফোন নম্বর পাবলিক রাখবেন না। Free SMS, SMS Bomber, Send Unlimited OTP এ ধরনের সাইট থেকে দূরে থাকবেন। কখন ও কেউ মজা করে নম্বর দিলে তাতে ও সমস্যা হতে পারে, তাই নিজের নম্বর সর্বজনীন হওয়া থেকে যতটা সম্ভব বাঁচিয়ে রাখুন।
আপনার নম্বর কি নিরাপদ? অনলাইনে নম্বর শেয়ার করার সঠিক নিয়ম
অনলাইনে নম্বর ব্যবহার করার সময় আপনাকে খুব সচেতন থাকতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য (ব্যাংক, ইমেইল, অফিস) একটি নম্বর এবং সাধারণ ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য আরেকটি সেকেন্ডারি নম্বর রাখলে ঝুঁকি অনেক কমে যায়। কোথা ও সাইন আপ করার আগে ওয়েবসাইটটি বিশ্বস্ত কি না তা যাচাই করা জরুরি। ব্যক্তিগত নম্বর প্রকাশ্যে পোস্ট করা বা কারো কাছে সহজে দিয়ে দেওয়া কখনই নিরাপদ নয়।
SMS Bombing কি আইনগত অপরাধ? প্রয়োজন হলে কোথায় অভিযোগ করবেন
হ্যাঁ, ইচ্ছাকৃত ভাবে কারো নম্বরে বারবার মেসেজ পাঠানো বা তাকে ইচ্ছাকৃত ভাবে বিরক্ত করা বাংলাদেশে সাইবার বুলিং ও সাইবার হয়রানির আওতায় পড়ে। আপনি চাইলে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন, নিকটবর্তী থানার সাইবার সেল বা ৯৯৯ এ অভিযোগ করতে পারেন। প্রয়োজন হলে তাদের কাছে স্ক্রিনশট ও প্রমাণ জমা দিয়ে দ্রুত সহায়তা পেতে পারেন।
শেষ কথা
SMS Bombing নিয়ে সকলের সচেতন হওয়া জরুরি। এটি দেখলে মজার কিছু মনে হলে ও আসলে এটি একটি বিরক্তিকর এবং অনেক সময় বিপজ্জনক সাইবার অপব্যবহার। তাই নম্বর শেয়ার করা থেকে শুরু করে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা সব ক্ষেত্রেই সতর্ক থাকুন। আপনার ডিজিটাল স্পেস আপনারই সো নিরাপদ রাখার দায়িত্বও আপনার হাতে।
We strive to provide accurate information, but we cannot guarantee that all details are always fully updated.
Affiliate Disclosure
This post may contain affiliate links. We may receive a commission if you make a purchase through these links, at no extra cost to you. For more details, please visit our Disclaimer Page.
.png)