Ai+ Pulse 4G দাম কত টাকা ও ফুল Specifications
প্রিয় পাঠক, এই ব্লগে Ai+ Pulse 4G দাম কত টাকা ও ফুল Specifications নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। Ai+ Pulse 4G হলো ২০২৫ সালের অন্যতম প্রতীক্ষিত একটি বাজেট স্মার্টফোন। জুনে ঘোষণা করা এই ডিভাইসটি জুলাই ০৮ তারিখে বাজারে আসার কথা। সাশ্রয়ী দামের মধ্যে বড় ডিসপ্লে, ভালো ক্যামেরা, শক্তিশালী ব্যাটারি ও আধুনিক কানেক্টিভিটির সমন্বয়ে ফোনটি বাজেট ব্যবহারকারীদের জন্য আকর্ষণীয় একটি অপশন হতে পারে।
ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি
ফোনটি হাতে নিলে প্রথমেই হালকা ও আরামদায়ক অনুভূতি পাওয়া যায়। ওজন ১৯৩ গ্রাম এবং পুরুত্ব মাত্র ৮.৫ মিমি হওয়ায় এটি দৈনন্দিন ব্যবহারে বেশ সুবিধাজনক। সামনে গ্লাস এবং পিছনে প্লাস্টিকের ব্যাক প্যানেল ব্যবহার করা হয়েছে, যা বাজেট হলেও দেখতে যথেষ্ট আকর্ষণীয়। ডুয়াল ন্যানো সিম সাপোর্ট থাকায় দুইটি সিম একই সঙ্গে ব্যবহার করা সহজ। বাজারে এটি পাওয়া যাবে পিঙ্ক রঙে, যা এর লুককে আরও আধুনিক করে তোলে।
ডিসপ্লে
Ai+ Pulse 4G-এ রয়েছে 6.74-ইঞ্চির TFT IPS ডিসপ্লে, যা 90Hz রিফ্রেশ রেট সাপোর্ট করে। স্ক্রিনের ব্রাইটনেস 450 nits হওয়ায় দৈনন্দিন ব্যবহারে ডিসপ্লে দেখা বেশ সহজ, যদিও খুব রোদে স্ক্রিন পড়তে কিছুটা কষ্ট হতে পারে। 720 x 1600 পিক্সেল রেজোলিউশন ওয়েব ব্রাউজিং, ভিডিও দেখা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট ভালো অভিজ্ঞতা দেয়।
পারফরম্যান্স
পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে ফোনটি চলে Unisoc T615 চিপসেটে, যেখানে আছে Octa-core প্রসেসর দুটি Cortex A75 এবং ছয়টি Cortex A55 কোরের সমন্বয়। দৈনন্দিন কাজ যেমন স্ক্রলিং, ভিডিও দেখা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার বা সাধারণ মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য ফোনটি যথেষ্ট কার্যকরভাবে কাজ করে। Mali-G57 GPU থাকায় হালকা গেম খেলা যাবে, তবে ভারী গেমিংয়ের জন্য এটি তৈরি হয়নি। ফোনটি চলছে সর্বশেষ Android 15 অপারেটিং সিস্টেমে, যা নতুন ফিচার, উন্নত সিকিউরিটি এবং স্মুথ অপারেশন নিশ্চিত করে।
র্যাম ও স্টোরেজ
ফোনটি দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে 4GB RAM ও 64GB স্টোরেজ, এবং 6GB RAM ও 128GB স্টোরেজ। স্টোরেজের দিক থেকে এটি বেশ ভালোই অপশন, কারণ পাশে রয়েছে dedicated microSD কার্ড স্লট। ফলে আপনি চাইলে সহজেই স্টোরেজ বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
ক্যামেরা
ফোনটির প্রধান আকর্ষণের একটি হলো এর 50MP রিয়ার ক্যামেরা। HDR, প্যানোরামা এবং Dual-LED ফ্ল্যাশ সব মিলিয়ে ক্যামেরাটি বাজেট অনুযায়ী যথেষ্ট ভালো ছবি তুলতে সক্ষম। ভিডিও রেকর্ডিংয়ে সর্বোচ্চ 2048p@30fps সাপোর্ট থাকায় ভিডিও কোয়ালিটিও বেশ ভালো পাওয়া যায়। সামনে রয়েছে 5MP সেলফি ক্যামেরা, যা 1080p ভিডিও রেকর্ড করতে পারে। সেলফির ক্ষেত্রে ডিটেইল কিছুটা কম হলেও ভিডিও কল বা সাধারণ সেলফির জন্য এটি যথেষ্ট।
ব্যাটারি ও চার্জিং
Ai+ Pulse 4G-এ ব্যবহার করা হয়েছে 5000mAh ক্ষমতার বড় ব্যাটারি। একবার চার্জেই দিনভর ব্যবহার করা যায়। সঙ্গে আছে ফাস্ট চার্জিং সুবিধা, যা ব্যাটারি দ্রুত চার্জ করে ব্যবহারকারীর সময় বাঁচায়। বাজেট ফোনে এই সুবিধা পাওয়া সত্যিই প্রশংসনীয়।
নেটওয়ার্ক ও কানেক্টিভিটি
ফোনটি 2G, 3G এবং 4G LTE সমর্থন করে। তবে এতে 5G নেই, যা ভবিষ্যতের জন্য কিছুটা সীমাবদ্ধতা তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে Wi-Fi 802.11 (a/b/g/n/ac), Bluetooth 5.3, GPS, NFC এবং USB Type-C 2.0 সাপোর্টের মতো আধুনিক কানেক্টিভিটি ফিচার রয়েছে। OTG সাপোর্ট থাকায় প্রয়োজন হলে আলাদা স্টোরেজও সংযুক্ত করা যায়। তবে FM রেডিও না থাকায় অনেক বাজেট ব্যবহারকারী এটি মিস করতে পারেন।
সিকিউরিটি ও সেন্সর
সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি দ্রুত ও নির্ভুলভাবে কাজ করে। সঙ্গে আছে accelerometer, proximity এবং compass সেন্সর, যা স্মার্টফোন ব্যবহারে প্রয়োজনীয় সব সুবিধাই নিশ্চিত করে।
দাম
গ্লোবাল মার্কেটে ফোনটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ₹6,999। বাংলাদেশে প্রত্যাশিত দাম হতে পারে আনুমানিক ৳9,000, যা বাজেট সেগমেন্টে যথেষ্ট প্রতিযোগিতা মূলক।
শেষ কথা
Ai+ Pulse 4G মূলত তাদের জন্য তৈরি, যারা কম বাজেটে ভালো ডিসপ্লে, বড় ব্যাটারি, সম্মানজনক ক্যামেরা এবং আপডেটেড সফটওয়্যার চান। গেমিং বা হাই-পারফরম্যান্স কাজের জন্য এটি নয়, তবে দৈনন্দিন ব্যবহারে এটি একটি বিশ্বাসযোগ্য স্মার্টফোন হতে পারে। বাজেট বিবেচনায় ফিচারগুলোর সমন্বয় নিঃসন্দেহে ব্যবহারকারীদের সন্তুষ্ট করবে।
.png)