প্রমিত ভাষা কাকে বলে ও প্রমিত ভাষার রূপ কয়টি
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আজকের ব্লগে আমরা প্রমিত ভাষা কাকে বলে ও প্রমিত ভাষার রূপ কয়টি তা নিয়ে আলোচনা করা হলো।বাংলা ভাষা বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ একটি ভাষা। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা নানাভাবে বাংলা ব্যবহার করি কথোপকথন, লেখা, শিক্ষা, সাহিত্য, সংবাদপত্র সহ নানা ক্ষেত্রে। তবে সবসময় একই ধরণের ভাষা ব্যবহার করা যায় না। এজন্য প্রয়োজন প্রমিত ভাষা।
প্রমিত ভাষা কাকে বলে?
প্রমিত ভাষা হলো এমন একটি ভাষার রূপ, যা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য, শুদ্ধ, নিরপেক্ষ এবং সর্বজনীন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- এটি অঞ্চলভেদে পরিবর্তিত হয় না।
- উচ্চারণ ও লেখায় একই নিয়ম মেনে চলে।
- শিক্ষা, সাহিত্য, সংবাদপত্র, অফিস-আদালত এবং আনুষ্ঠানিক ক্ষেত্রে প্রমিত ভাষাই ব্যবহার করা হয়।
অর্থাৎ, প্রমিত ভাষা হলো সেই ভাষা, যেটিকে সবাই মেনে নেয় এবং যার মাধ্যমে সহজে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়।
কেন প্রমিত ভাষার প্রয়োজন?
- দেশের প্রত্যেক অঞ্চলের মানুষকে এক সূত্রে বেঁধে রাখতে।
- শিক্ষা ও প্রশাসনিক কাজে বিভ্রান্তি দূর করতে।
- সাহিত্য, গবেষণা ও গণমাধ্যমে সবার জন্য সমানভাবে বোধগম্য একটি ভাষা গড়ে তুলতে।
প্রমিত ভাষার রূপ কয়টি?
প্রমিত ভাষা মূলত দুটি রূপে বিভক্ত—
১. কথ্য প্রমিত ভাষা
- এটি মুখে বলা হয়।
- উচ্চারণভিত্তিক এবং সহজবোধ্য।
- টেলিভিশন, রেডিও, নাটক, বক্তৃতা, শিক্ষা ইত্যাদিতে কথ্য প্রমিত ভাষা ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণ: শিক্ষক ক্লাসে পড়াচ্ছেন, সংবাদপাঠক খবর পড়ছেন।
২. লিখিত প্রমিত ভাষা
- এটি লেখার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
- ব্যাকরণ, বানান ও শুদ্ধরূপ বজায় রাখতে হয়।
- বই, প্রবন্ধ, সংবাদপত্র, আইন, সরকারি নথি, চিঠি ইত্যাদিতে লিখিত প্রমিত ভাষা ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণ: পত্রিকায় প্রকাশিত খবর, স্কুলের পাঠ্যপুস্তক।
উপসংহার
প্রমিত ভাষা আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এটি ছাড়া শিক্ষা, সাহিত্য, প্রশাসন বা গণমাধ্যমে সবার কাছে সমানভাবে বোধগম্য যোগাযোগ সম্ভব হতো না। তাই প্রতিটি শিক্ষার্থীর উচিত প্রমিত ভাষা রপ্ত করা এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করা। পোষ্টটি ভালো লাগলে পরিচিতদেরকে শেয়ার করো।
