সমাধি নন্দ স্থবির ভান্তের কন্ঠে এক নজরে ২৩ টি সূত্রপাঠ

সমাধি নন্দ স্থবির
দেবমনুষ্য তথা জগতের সকল প্রাণী হিতসুখ মঙ্গলের জন্য ত্রিরত্নের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখে এক নজরে ২০ উপরে সূত্রপাঠ করলাম। এই পরিত্রাণ পুণ্যের প্রভাবে সকলে সুখী হউ সাধুবাদ।
👉কন্ঠে শ্রদ্ধেয় সমাধি নন্দ (স্থবির) ভান্তে।সকলেই স্মৃতি সহকারে শ্রবণ করুন ও সাধুবাদেন সহিত পূণ্যানুমোদন করুন এবং শেয়ার করে অপরকে শ্রবণ করার সুযোগ দিন।🙏🙏🙏
মহামঙ্গল সূত্রঃ কথিত আছে - এই সূত্র সকাল-সন্ধ্যায় ভক্তি-শ্রদ্ধা সহকারে পাঠ করলে তার প্রভাবে সকল পাপ বিনষ্ট হয়। এখানে মূলত সর্বপাপ বিনাশক বুদ্ধ দেশিত আটত্রিশ প্রকার মঙ্গল বিষয় দেব-মানবের হিতার্থে (আমরা) আবৃত্তি করছি। বিস্তারিত দেখুন মহামঙ্গল সূত্র বঙ্গানুবাদ। (বই আদর্শ বৌদ্ধ নীতি)।
🙏বুদ্ধ বন্দনা শেষে বার অনুযায়ী দৈনিক সূত্র পাঠ সকাল-বিকাল - রবিবার-মহামঙ্গল সূত্র ও মৈত্রী ভাবনা (সকাল পালি) (বিকাল বাংলা)
সূপূব্বহ্ন সূত্রঃ এই সূত্র পাঠের প্রভাবে যে কোন দুর্নিমিত্ত, অমঙ্গল, অপ্রীতিকর পক্ষীয় শব্দ, পাপগ্রহ ও দু:স্বপ্ন দূরীভূত হয়। দু:খান জনের দু:খ থাকে না, শোকগ্রস্ত ব্যক্তির শোক থাকে না।
বোজ্ঝঙ্গ সূত্রঃ কথিত আছে- এই পরিত্রাণ পাঠের প্রভাবে সংসারে যাবতীয় রোগমুক্ত হয়ে অজর, অমর, ব্যাধিহীন অমৃত ও অভয় অবস্থা প্রাপ্ত হয়।
জয় পরিত্তংঃ মঙ্গলের জন্য
ধজগ্গ সূত্রঃ কথিত আছে -ভক্তি ও মনোযোগের সহিত সকাল-সন্ধ্যায় এই পরিত্রাণ পাঠ করলে যক্ষ-চোরাদি বিভিন্ন উপদ্রব থেকে মুক্তি লাভ করে।
বুদ্ধ বন্দনা শেষে সকাল_সন্ধ্যা দৈনিক সূত্র-
বৃহস্পতিবার- (ধজগ্গ সূত্র পাঠ)
ধারণ সূত্রঃ কথিত আছে- এই পরিত্রাণ পাঠের প্রভাবে কেহ জীবনের, জ্ঞান ও সৌভাগ্য চিহ্নের অন্তরায় করতে পারে না। এমন কি শরীরে বিষক্রিয়া, জলে ডুবা ও আগুনে দগ্ধ হয় না। নানা ভয় বিদূরীত হয়, এক কিংবা চারি জন হননকারী, উন্মুত্ত ও মূর্খলোক, যক্ষাদি অমনুষ্য এবং হিংসুক ব্যক্তির দ্বারা উপদ্রুপ হয় না। শত্রুর চক্রান্ত হয় না, জটিল রোগ উপশম হয়। (বিস্তারিত দেখুন আদর্শ বৌদ্ধ নীতি)
নবগ্গহ সূত্রঃ মহাপুরুষ গণের পুণ্য তেজ সূত্র
বট্টক সূত্রঃ বঙ্গানুবাদ-কথিত আছে - শীল, সমাধি, প্রজ্ঞা, দয়া ও শুচিতা প্রভৃতি সদ্গুণরাশি স্মরণ করে এই পরিত্রাণ পাঠ করলে প্রজ্জ্বলিত অগ্নিও সত্যক্রিয়া অধিষ্ঠানকারীকে স্পর্শ করতে পারে না এবং অস্বাভাবিকভাবে নিভে যায়।বোধিসম্ভার পূরণকালে বর্তক জন্মধারী মহাসত্ত্বকে যার প্রভাবে দাবাগ্নি বর্জন করেছিল। লোকনাথ বুদ্ধ যা সারিপুত্র স্থবিরের নিকট ভাষণ করেছিলেন, কল্পকাল স্থায়ী মহাতেজ সম্পন্ন সে বর্তক পরিত্রাণ আমরা পাঠ করতেছি।
জগতে যে সকল (গুণরাজি) শীল, সত্য, শুচি ও দয়াদি গুণরাজি আছে, আমি সে সকল গুণরাজি স্মরণ করে অনুত্তর সত্যক্রিয়া করব।ধর্মবলকে আশ্রয় করে, অতীত বুদ্ধগণকে স্মরণ করে, সত্য বলকে আশ্রয় করে আমি সত্য ক্রিয়া করলাম। আমার পাখা আছে বটে কিন্তু পালকহীন হওয়াতে উড়তে পারি না, পা আছে বটে কিন্তু শক্তির অভাবে চলতে পারি না, মাতা-পিতাও প্রাণ ভয়ে চলে গেছেন, হে অগ্নি (দেব)! তুমিও ফিরে যাও।
আমার সত্যক্রিয়া করার সঙ্গেই সঙ্গেই মহাপ্রজ্জ্বলিত অগ্নি জলসেচনে নিভে যাওয়ার ন্যায় (ষোড়শ করীষ) ষোল করীস পরিমাণ স্থান থেকে আগুন নিভে গেল, আমার সত্যের তুল্য আর অন্য কোন সত্য নেই, ইহা আমার সত্য পারমীতা।
সাধু সাধু সাধু
মোর পরিত্তংঃ এই পরিত্রাণ পাঠের প্রভাবে কখনও শত্রুর ফাঁদে পড়তে হয় না।
জয় পরিত্তংঃ জয়ের জন্য।
করণীয় মেত্ত সূত্রঃ এই সূত্র সকাল- সন্ধ্যায় পাঠ করলে সুনিন্দ্রা হয়, পাপস্বপ্ন দর্শন হয় না, যক্ষ ভয়াদি বিবিধ উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।।
খন্ধ পরিত্তংঃ কথিত আছে - এই পরিত্রাণ শ্রদ্ধাচিত্তেে একাগ্রতা মনে পাঠ করলে দিব্য মন্ত্রৌষধবৎ সকল প্রকার সর্পের বিষক্রিয়া নিবারণ করে।।
চক্ক পরিত্তং——নিরোগীর জন্য|
আটানাটিয় সূত্রঃ কথিত আছে ——এই সূত্র পাঠ করলে বৌদ্ধধর্মে অবিশ্বাসী চণ্ড স্বভাব ও পাপিষ্ঠ অমনুষ্যগণ থেকে ভিক্ষু, ভিক্ষুণী, উপাসক-উপাসিকাকে রক্ষা করে।
ভূমি সূত্রঃ -কথিত আছে ——যক্ষ-চোরাদি উগ্র স্বভাব সম্পন্ন অহিতকারী, হিংসাকারীদের দ্বারা উৎপন্ন উপদ্রব হতে ইন্দ্রাদি দেবতাগণ রক্ষাকারী, এই মাটির পৃথিবীতে দান-শীলাদি কুশল কর্মের দ্বারা সম্ভাব্য সুখ উৎপন্ন হয় বলে লোকনাথ বুদ্ধ কর্তৃক যে ভূমি পরিত্রাণ ভাষিত হইয়াছে এখন সেই গুণ সম্পন্ন পরিত্রাণ পাঠ করতেছি। একাগ্রতা মনে শ্রবণ করুন।।
জিনপঞ্জর গাথাঃ কথিত আছে ——এই গাথাটি সর্বদা যারা পাঠ করে তাদের সর্বত্র জয়লাভ ও আয়ু দীর্ঘ হয় এবং যক্ষ ভয়াদি নানা উপদ্রব বিদূরীত হয়ে পরম শান্তি লাভ করে গ্রহদোষ মুক্ত হয়।
রতন সূত্রঃ এই সূত্র শ্রদ্ধাচিত্তে একাগ্র মনে পাঠ করলে তার প্রভাবে স্তর প্রকার রোগ, শোক দু:খ, মহামারী, অমনুষ্য ভয় ও দুর্ভিক্ষ ভক্ত শ্রীঘ্র অন্তর্হিত হয়।
সীবলী সূত্রঃ কথিত আছে এ'ই সীবলী পরিত্রাণ সুত্র'টি শ্রদ্ধাচিত্তে সকাল -সন্ধ্যা ভক্তিসহকারে শ্রবণ বা নিজে পাঠ করিলে তাঁহাদের ব্যবসা-বাণিজ্য লাভ হয় আয় উন্নতি শ্রীবৃদ্ধি হয়। তাই এই পূণ্যের প্রভাবে সকলের মঙ্গল হোক, আয় উন্নতি শ্রীবৃদ্ধি হোক এই কামনায়..#Colllected