আষাঢ়ী পূর্ণিমা গাথা

প্রিয় পাঠক -পাঠিকাগণ আজকের এই আর্টিকেলে আষাঢ়ী পূর্ণিমা গাথা সর্ম্পকে জানবো। এই পোষ্ট এর মাধ্যমে আপনি সহযেই আষাঢ়ী পূর্ণিমা গাথা সহযেই জানতে ও পড়তে,

আষাঢ়ী পূর্ণিমা গাথা

প্রিয় পাঠক -পাঠিকাগণ আজকের এই আর্টিকেলে আষাঢ়ী পূর্ণিমা গাথা সর্ম্পকে জানবো। এই পোষ্ট এর মাধ্যমে আপনি সহযেই আষাঢ়ী পূর্ণিমা গাথা সহযেই জানতে ও পড়তে পারবেন। নিচে আষাঢ়ী পূর্ণিমা গাথা দেওয়া হলো:

আষাঢ়ী পূর্ণিমা গাথা

আষাঢ়ী পূর্ণিমা গাথা

 আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথি অতি শুভক্ষণ,

চারি স্মৃতি বিজরিত শোভন মোহন।

এ সময়ে চলে প্রকৃতির খেলা,

বিচিত্র বিধানে হয় চমৎকার লীলা।

মেঘের গম্ভীর ধ্বনি অশনি গর্জন,

বিজলীর আঁকা বাকা প্রভা সুশোভন।

ক্ষণে বৃষ্টি, ক্ষণে রোদ, ক্ষণে মেঘাবৃত,

জলত শীতল বায়ু বহে অবিরত।

নদী ডোবা পুষ্করিনী আর সরোবর,

জলপূর্ণ হয়ে আছে দেখিতে সুন্দর।

সরোজ- কুমুদ কত রয়েছে ফুটিয়া,

মধুকর মধু লোভে যাইতেছে ছুটিয়া।

এহেন পূর্ণিমা যোগে গভীর নিশীতে,

মায়া দেবী স্বপ্ন দেখে অতি হরষিতে।

শ্বেত হস্তী শ্বেতপদ্ম শুণ্ডেতে ধরিয়া,

তিনবার প্রদক্ষিণ রাণীকে করিয়া।

দক্ষিণ পার্শ্বেতে যেন প্রবেশে জঠরে,

সেইক্ষণে বোধিসত্ব মায়ার উদরে।

তুষিত স্বর্গ হতে নেমে এসে ধীরে,

জন্ম নিল জগতের কল্যাণের তরে।

এমন অপর শুভ পূর্ণিমা নিশিতে,

দুঃখের নিরোধ চিন্তা করিতে করিতে।

সংসার নিগড় হতে মুক্তি লাভ তরে,

রাজ্য ধন ত্যাগ করি আকুল অন্তরে।

স্ত্রী-পুত্রের মায়াপাশে করিয়া ছেদন,

অর্ধরাত্রে করিলেন অভিনিস্ক্রমণ।

সিদ্ধার্থের ত্যাগ দেখি দেব-ব্রহ্মগণ,

মহানন্দে সাধুবাদ দেয় ঘনে ঘন।

এরুপ অপরএক পূর্ণিমা তিথিতে,

ভগবান উপনীত হয়ে সারনাতে।

মৃগাদাবে পঞ্চশিষ্যে দীক্ষা প্রদানিয়া,

ধর্মচক্র প্রবর্তন প্রথম দেশিয়া।

জ্ঞানদ্বীপ জানিলেন তাদের অন্তরে,

ইহা দেখি দেব-ব্রহ্মা সাধু ধ্বনি করে।

এমন পবিত্র অন্য মহাশুভক্ষণে,

প্রর্দশিল যমক খদ্ধি শ্রাবস্তী গগণে।

সমাপন করি বুদ্ধ করুণা-অন্তরে,

তখনি গেলেন চলি তাবতিংশ পুরে।

সেইখানে তিনমাস বসি ইন্দ্রাসনে,

মাতাসহ দেবগণে মৈত্রীপূর্ণ মনে।

অভিধর্ম শুনালেন মধুর ভাষণে,

শ্রেষ্ঠ ধর্ম শুণে সবে অতি হৃষ্ট মনে।

এই চারি মহাস্মৃতি রয়েছে জড়িত,

আষাঢ়ী পূর্ণিমা সনে জানিবে নিশ্চিত।

এ পবিত্র দিনে সবে হয়ে একত্রিত,

বুদ্ধাপূজা দানশীলে হয়ে একচিত।

বুদ্ধের আদর্শ নীতি করিয়া পালন,

অচিরে লভিতে যেন পারি মোক্ষধন।

যে কোন ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এই আষাঢ়ী পূর্ণিমা গাথাটি আপনার পরিচিতদেরকে শেয়ার করুন। যাতে সবাই জানতে পারে ও শিখতে পারে।

Disclaimer
We strive to provide accurate information, but we cannot guarantee that all details are always fully updated.

Affiliate Disclosure
This post may contain affiliate links. We may receive a commission if you make a purchase through these links, at no extra cost to you. For more details, please visit our Disclaimer Page.

আইটি বিতান
Nilasha Barua

হাই! আমি নিলাশা, প্রযুক্তি, গ্যাজেট রিভিউ এবং নানা ধরনের বিষয় নিয়ে ব্লগ লিখি। পাঠকের জন্য সহজ, প্রাসঙ্গিক এবং তথ্যবহুল কনটেন্ট তৈরি করাই আমার প্রাথমিক উদ্দেশ্য।নতুন তথ্য শেয়ার করতে এবং পাঠকদের সাথে জ্ঞান ভাগাভাগি করতে পছন্দ করি।

Post a Comment