প্রিয় পাঠক -পাঠিকাগণ আজকের এই আর্টিকেলে শ্রদ্ধাঞ্জলী গাথা সর্ম্পকে জানবো। এই পোষ্ট এর মাধ্যমে আপনি সহযেই শ্রদ্ধাঞ্জলী গাথা সহযেই জানতে ও পড়তে পারবেন। নিচে শ্রদ্ধাঞ্জলী গাথা দেওয়া হলো:
শ্রদ্ধাঞ্জলী গাথা
কি নামে তোমায় ডাকিব হে প্রভু-
পাইনা শব্দ খুজিয়া।
কি দিয়ে তোমায় পূজিব হে নাথ,
কে দিবে আমায় বলিয়া?
মানবের স্তুতি; জগতের পূজা-
চাহনা হে তুমি চাহনা;
মানবের তুমি জগতেরে তুমি-
সেবিয়াছ দিয়া করুণা।
তবুও পরাণ আকুল হইয়া-
চায় ও চারণ চুমিতে;
অসীম তোমায় সসীম ভাষায়
চায় গো ব্যক্ত করিতে ।
সসীম ভাষায় অসীম তোমায়
চায় গো ব্যাখা করিতে
আকুল পরাণ ব্যাকুল হইয়া-
ধায় ও চরণ ধরিতে ।
প্রকৃতির মুখ রসনা হইতে
গুপ্ত সত্য টানিয়া,
করিয়াছ ব্যক্ত, হইবারে মুক্ত
কারাগার তার ভাঙ্গিয়া ।
এ রহস্যময় জীবনে আমার-
ঘটিতেছে যত ঘটনা।
তাদের মাঝারে পাই দেখিবারে,
“দর্শন” তব রচনা।
সুখের হিল্লোলে, দুঃখ-বজ্র-নাদে
হৃদয় কাপিয়া উঠিলে,
তোমার জীবন তোমার বচন
থামায় বজ্র হিল্লোলে।
কৃতজ্ঞ হৃদয়ে আপনা ভুলিয়া-
লুটাইতে চাই চরণে
ধাই পূজিবারে বিহ্বলিত প্রাণে-
গন্ধ-দীপ কুসুমে।
চাহি ডাকিবারে, মিলেনা তা ভাষা-
মূক হয়ে থাকি বসিয়া,
কি নামে তোমায় ডাহিব হে প্রভু,
ভাষাত পাইনা খুঁজিয়া।
হৃদয়ের তুমি আদর্শ আমার;
জীবনের ধ্রুব তারকা,
তব আত্ম-দান অসীম করুনা
আমার জীবন-দপিকা।
তোমার জীবন মৈত্রী, প্রজ্ঞা, বল
তোমার শান্তি পাইতে,
হইব সক্ষম আমি ও একদা
চক্রে চক্রে ভ্রমিতে।
তোমার এ বাণী, এ মধুর সত্য-
রেখেছি আঁকিয়া হৃদয়ে ।
কি নামে তোমায় ডাকিব হে প্রভু,
প্রাণের আকাঙ্খ মিটায়ে ।
মরণ যখন আসিব লইতে,
চরম নিশ্বাস টানিয়া,
স্মৃতির মাঝারে রাখিয়ে তোমারে,
যাব অজানায় চলিয়া।
কি ভয় আমার, কি দুঃখ আমার,
এখানে, ওখানে, সেখানে।
তোমা ময় হ’ক জীবন আমার-
জনমে জীবনে মরণে;
শাস্তা আমার, আদর্শ আমার,
লও গো প্রণতি চরণে ।
ক্রমেতে কপিলপুরে পিতামাতা সকলেরে।
যে কোন ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এই শ্রদ্ধাঞ্জলী গাথাটি আপনার পরিচিতদেরকে শেয়ার করুন। যাতে সবাই জানতে পারে ও শিখতে পারে।